মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে আবারও ব্যাংলাদেশ ব্যাংককে তার নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে চাহিদা ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার জোর দাবি জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান তার চিঠিতে তাদের নানামুখী বিনিয়োগ, রপ্তানি ও কর্মসংস্থানের খতিয়ান তুলে ধরেছিলেন।
‘এই স্বীকৃতির পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেক্সিমকোর ব্যবসায়িক মডেল ও চর্চা এমন শুদ্ধাচার সম্পন্ন হবে বলে টিআইবি চেয়াপারসন আশা প্রকাশ করেছেন যেন তা ছোট বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় হয়। একই সঙ্গে চেয়ারপারসন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি পুনঃতফসিলিকরণের জন্য বেক্সিমকোর উদ্যোগের প্রতি নতি স্বীকার না করে দেশের ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনের আহ্বানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ’
ড. জামান আরও বলেন, টিআইবি চেয়ারপারসন তার চিঠিতে এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে, ব্যক্তি বিবেচনা নয় বরং সুশাসন ও শুদ্ধাচার পরিপন্থি এবং বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াই টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে মূল বিবেচ্য।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নিজস্ব নীতিমালাকে পাশ কাটিয়ে যেভাবে একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে অন্যায্য ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের সুবিধা দেওয়ার আত্মঘাতী উদ্যোগ নিয়েছে টিআইবি তার সমালোচনা করা ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো নৈতিক কর্তব্য বলে মনে করে।
এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে মূলত খেলাপিঋণ প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে সৃষ্ট ব্যাংকিং খাতের সংকট উত্তরণের পন্থা নির্ধারণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন, যার মাধ্যমে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য বলে মনে করছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এসই/এএ