বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান তিন কর্মকর্তাকে শোকজ করে এ সংক্রান্ত আদেশে সই করেছেন।
জানা যায়, যাদের শোকজ করা হয়েছে তারা বগুড়া পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ, একই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা রাফিউল আবেদীন।
বগুড়া পৌরসভার সচিব রেজাউল করিম বাংলানিইজকে জানান, ওই তিন কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। যে ট্রাকে বাতিল নোটের ওই টুকরোগুলো বহন করা হয়েছিল সেটির ভাড়ার চুক্তিও বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বগুড়া পৌরসভা এলাকার বর্জ্য ফেলার জন্য সদর উপজেলার বাঘোপাড়া এলাকায় ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে ভাড়া করা ১২টি ট্রাকে প্রতিদিন বর্জ্যগুলো নিয়ে সেখানে ফেলা হয়। নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্জ্যগুলোও সেখানে ফেলার কথা ছিল। কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীদের গাফিলতির কারণে ভাড়ায় নিয়োজিত ট্রাকের চালক সেগুলো শাজাহানপুরের খারুয়া বিলে ফেলে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার বাতিল করা বিপুল পরিমাণ টুকরো টাকা শাজাহানপুর উপজেলার খাড়ুয়া বিলে ফেলা হলে স্থানীয় জনগণের সন্দেহ ছিল এক বা একাধিক ব্যক্তি অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল পরিমাণ টাকা মেশিনে কেটে পানিতে ফেলে গেছে।
পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানা যায় টুকরো করা টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের বাতিল ও অপ্রচলনযোগ্য। বর্জ্য হিসেবে সেগুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে বগুড়া পৌরসভাকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বাতিল নোটের টুকরা অপসারণের কাজটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। তাই তাদের শোকজ করা হয়েছে। সঠিক জবাব না দিতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
কেইউএ/ওএইচ/