বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেনটি সেতুর ২০-২১ নম্বর পিলার থেকে ‘৫-এফ’ দ্বাদশ স্প্যানটি সরিয়ে ২৪-২৫ নম্বর পিলারে স্থায়ীভাবে বসানো হয়।
এরআগে, জায়গা সংকুলান ও কাজের সুবিধার্থে চলতি বছরের ৬ মে মাঝপদ্মায় সেতুর ২০-২১ নম্বর পিলারের উপর অস্থায়ীভাবে ‘৫-এফ’ স্প্যানটি বসানো হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদ্মাসেতুর এক প্রকৌশলী জানান, আবহাওয়া আর ভাসমান ক্রেনটির অ্যাংকরিংসহ সবকিছু অনুকূলে থাকায় কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই সফলভাবে স্প্যানটি বসানো হয় পিলারের ওপর। দুই পিলারের মধ্যবর্তী সুবিধাজনক স্থানে এনে ভাসমান ক্রেনটিকে নোঙর করা হয়। এরপর পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় পিলারের উচ্চতায়। রাখা হয় দুই পিলারের বেয়ারিং এর ওপর। ২০-২১ নম্বর পিলার থেকে ক্রেনে স্প্যান উঠিয়ে আবার ২৪-২৫ নম্বর পিলারে বসাতে সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা।
জানা যায়, ১৪টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ২১০০ মিটার (২.১ কিলোমিটার)। সেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩১টি পিলারের কাজ সম্পন্ন। পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি।
পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
এনটি