তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থাপনা র্নিমাণ, টেন্ডার ও ঠিকাদারিসহ দেশের দুর্নীতিরোধে প্রধানমন্ত্রী দল থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। তাই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে করলে কর্মচারীদের ভয়ের কিছু নেই।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যখাতের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর আলাদা আলাদা এডিপি সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি একথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, সরকারের শক্তির উপর মাস্তানি করার শক্তি কারো নেই। কারো অবৈধ-অনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করা যাবে না। সরকারি কাজে দুর্নীতিমুক্ত হয়ে নির্ভয়ে কাজ করতে গিয়ে কেউ বিপদগ্রস্ত হলে আমিই তাদের প্রটেকশন দেবো।
এজন্য মন্ত্রণালয়সহ অধিদফতর-সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুর্নীতিমুক্ত হয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ভুক্ত বিভিন্ন অফিস-স্থাপনাগুলোকে দৃষ্টিনন্দন ও রুচিশীল পরিবেশের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জরার্জীণ ও নোংরা পরিবেশের অফিসে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরাও হীনমন্যতায় ভোগেন, যা কাম্য নয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গরুর মাংসের চেয়ে মহিষের মাংস বেশি চর্বি ও কোলেস্টেরলমুক্ত। এজন্য মহিষের উৎপাদন ও খামার বাড়ানোর প্রয়োজনের ওপর জোর দেন। মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি ভোলা, সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল, নেত্রকোনা, পটুয়াখালী ও নোয়াখালীতে মহিষের খামার স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রস্তাবিত প্রকল্প প্রণয়নের কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ উপখাতে ১৯টি এবং মৎস্য উপখাতে ১৭টি মিলে মোট ৩৬টি প্রকল্পে ১৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। এরমধ্যে আগস্ট পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ৩৬টি প্রকল্পেও প্রায় ৮০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে শুধু প্রাণিসম্পদ উপখাতের ১৯টি প্রকল্পে বরাদ্দ ৯৯৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার মধ্যে আগস্ট পর্যন্ত পৌনে ২৩ কোটি এবং মৎস্য উপখাতে ১৭টি প্রকল্পে বরাদ্দ ৬২২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার মধ্যে সোয়া ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
জিসিজি/এএ