বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সংবাদকর্মী হায়দার আলীসহ কয়েকজন ওই চোরকে ধরলে আনসারের দায়িত্বরত সদস্য জয়নাল নিজের হেফাজতে নিয়ে ছেড়ে দেন তাকে।
হায়দার আলী বাংলানিউজকে বলেন, রোগী দেখাতে নতুন ভবনে লিফটে চড়ে ওপরের দিকে উঠছিলাম।
‘তখন ওই ব্যক্তি দাবি করে, সে চোর নয়। হাসপাতালে তার রোগী আছে। সে রোগী দেখতে এসেছে। তার কথা মতো তাকে নিয়ে নতুন ভবনে রোগী খোঁজা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এতে তার দাবি মিথ্যা প্রমাণ হলে ওই আনসার সদস্যকে আমি বলি, চোরকে হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করেন। ’
হায়দার আলী বলেন, নিজের কাজ শেষ করে আধঘণ্টা পরে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে দেখতে পাই চোরকে এখনো সোপর্দ করেননি আনসার সদস্য। পরে সেই আনসার জয়নালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি চোরকে ছেড়ে দিয়েছেন। কেন ছেড়ে দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, চোরের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী কোনো মামলা করবেন না, তাই তার নাম-ঠিকানা লিখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসারের প্লাটুন কমান্ডার মোসলেম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পরপরই আমি জানতে পেরেছি একটি চোরকে ধরা হয়েছে এবং এই জয়নালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চোরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করুন। কিন্তু তিনি কেন ছেড়ে দিয়েছেন, তা আমিও বুঝতে পারছি না। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই আবদুল খান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার বিস্তারিত হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএকেএম নাসির উদ্দিনকে অবগত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
এজেডএস/এইচএ/