বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওয়ারী থানায় র্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক ২টি মামলা (যথাক্রমে নম্বর- ৩৩, ৩৪) দায়ের করে।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব -৩ এর এক কর্মকর্তা জানান, এনামুলের কর্মচারী আবুল কালাম রহমানের নামে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত এনামুল ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর ৩১ নম্বর বানিয়ানগর, ৮৩১ নম্বর লালমোহন সাহা স্ট্রিট ও নারিন্দার ২২১ নম্বর শরৎগুপ্ত রোডে পৃথক ৩টি অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ৫টি সিন্দুক থেকে নগদ ৫ কোটি টাকা, ২টি পিস্তল, ১টি শটগান, ১টি রিভলবার, ২টি ইয়ারগান ও ৭৩০ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়।
সে সময় র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, প্রথম অভিযানে এনামুল ও তার ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসা থেকে তিনটি সিন্দুকে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৭৩০ ভরি সোনা ও ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
দ্বিতীয় অভিযানে ৮৩১ নম্বর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের এনামুলের কর্মচারী আবুল কালামের বাসার একটি সিন্দুক থেকে ২ কোটি টাকা ও গুলিসহ ১টি রিভলভার উদ্ধার করা হয়।
তৃতীয় অভিযানটি চালানো হয় নারিন্দার শরৎগুপ্ত রোডের ২২১ নম্বর রোডে এনামুলের বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায়। সেখান থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।
মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অংশীদার এনামুল। এত বিপুল পরিমাণ টাকার সুনির্দিষ্ট উৎসের তথ্য জানতে না পারলেও ক্যাসিনোর টাকা বলে ধারণা করছেন অভিযান সংশ্লিষ্টরা। এত টাকা লুকিয়ে রাখার জন্য বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। এজন্য এনামুল তার টাকায় সোনা কিনে রাখতেন।
** ‘অবৈধ অর্থ বাড়ির ভল্টে রাখতেন আ’লীগ নেতা এনামুল-রুপন’
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
পিএম/আরএ