বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে “লোকালাইজিং এসডিজি’স” বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের সংলাপ শীর্ষক টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা সমানভাবে প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, সবাই মিলে সমাজের নিচের দিকে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছেও আমরা টেকসই উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা স্থানীয়করণ হলো একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলো পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগ কৌশল প্রক্রিয়া।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা স্থানীয়করণে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মিলোনিয়াম ডেভেলপমেন্ট লক্ষ্যমাত্রা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা তা এসডিজিতে তা সংযুক্ত করেছি।
এসডিজি বাস্তবায়নে সমন্বিত অ্যাকশন প্ল্যান বিষয়ে উদ্ভাবনী পর্যাবেক্ষণ কাঠামো এবং অনলাইন এসডিজি ট্র্যাকার চালু করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
নির্ভুল ডাটা সংগ্রহ প্রক্রিয়া এবং তা ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ডাটা সমন্বয় কমিটি গঠনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বেসরকারি খাত ও দায়িত্বশীল সিভিল সোসাইটিকে অন্তর্ভুক্ত করে আমরা সম্পদ প্রবাহ এবং উদ্ভাবনী অর্থায়নের চেষ্টা করছি।
পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে আমাদের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন।
কার্যকরভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয়করণে বাংলাদেশ সরকার ৪০টি সূচক নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩৯টি নেওয়া এবং কেউই বাদ যাবে না এই নীতিতে স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে বাকি ১টি সূচক স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নেওয়া।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবদুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক প্রমুখ।
** এক টেবিলে ভোজ সারলেন হাসিনা-ট্রাম্প-মেরকেল-গুতিয়েরেস
বাংলাদেশ সময়: ০২১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এমইউএম/আরএ