সিটি করপোরেশন ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থানে না ফেলে বিলের পাড়ে ফেলার কারণে জনমনে নানা রকম প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে বুধবার ( ২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক গণমাধ্যমে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক বাতিল নোট পুড়িয়ে ধ্বংস করার কাজ সীমিত করে তা বিনষ্টকরণে শ্রেডেড পদ্ধতি (ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরায় পরিণত করা) অনুসরণ করছে।
চলতি বছরের ৩০ মে বাতিলকৃত নোটের শ্রেডেড ও পাঞ্চকৃত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরা আবর্জনা হিসেবে স্থানীয় সিটি করপোরেশন-পৌরসভার মাধ্যমে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাতিলকৃত নোটের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ্রেডেড টুকরাসমূহ সিটি করপোরেশন-পৌরসভার ময়লা ফেলার জন্য নির্ধারিত স্থানে তাদের (সিটি করপোরেশন-পৌরসভার) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফেলার কথা।
কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর বগুড়া পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া অফিসের বাতিলকৃত নোটের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ্রেডেড টুকরা পৌরসভার আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত স্থানে না ফেলে অন্যত্র ফেলেছে।
যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাশাপাশি নানারূপ প্রশ্ন উঠেছে। টেলিভিশন চ্যানেলে প্রদর্শিত ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত শ্রেডেড নোটের টুকরাসমূহ বাতিলকৃত নোটের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরা।
এ সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ্রেডেড টুকরার কোনোরূপ ব্যবহারিক কিংবা বিনিময় মূল্য নেই বিধায় এ নিয়ে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এসই/আরএ