বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শত শত মানুষের সামনে প্রমত্তা পদ্মায় তলিয়ে গেলো চরের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন! উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের মাগুরখণ্ড এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছিল এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদনি ধরে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে পদ্মা নদীর পানি।
ক্ষতিগ্রস্ত জানান, চলতি বছরে প্রথম দফায় গত আগস্টে শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি ও বন্দরখোলা এই ৩টি ইউনিয়নে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দেয়। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় দেড়শ’ মিটার জায়গা নদী ভাঙনের শিকার। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও ৩টি স্কুল ভবনসহ ৫টি স্কুল, ২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র-কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন হাটবাজারসহ ৩ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, হাজারো বসতবাড়ি।
কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নওয়াব ফকির জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে দ্বিতীয় দফা ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাগুরখণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে। বিদ্যালয়টি ভাঙনের কারণে এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল নোমান বলেন, কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। আমরা আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
আরএ