প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকেরা বর্তমানে ১১তম গ্রেড ও প্রশিক্ষণ বিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেড এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা ১৪তম ও প্রশিক্ষণ বিহীন সহকারী শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হন।
গ্রেড আপগ্রেডেশনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকেরা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আপগ্রেডেশনের জন্য বেতন বৈষম্য দূর করতে গত ২৯ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় মন্ত্রণালয়। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীতের প্রস্তাব করে পাঠানো হয়।
কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় গত ৮ সেপ্টেম্বর তা নাকচ করে চিঠি পাঠায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড যথাযথ ও সঠিক থাকায় প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেড করার সুযোগ নেই।
কিন্তু বেতন বৈষম্য নিরসনে শিক্ষকেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের ১২টি সংগঠন একত্রিত হয়ে ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ গঠন করে এবং কর্মসূচি ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান জানান, দাবি আদায়ে ১৪ অক্টোবর এক ঘণ্টার কর্মবিরতি, ১৫ অক্টোবর দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি, ১৬ অক্টোবর অর্ধদিবস এবং ১৭ অক্টোবর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ঐক্য পরিষদ।
তবে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বসে নেই। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও বিষয়টি অবগত রয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বাংলানিউজকে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। তবে আমরা অর্থসচিবের সঙ্গে আবারও আলাপ করেছি। অর্থসচিব দেশে ফিরলে তার সঙ্গে বসবো। বিষয়টি অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের নলেজে দিয়েছি। উনিও পরামর্শ দিয়েছেন, আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। অর্থসচিব দেশে ফিরলে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এমআইএইচ/আরএ