প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিশ্ব নৌ-দিবস উপলক্ষে ঢাকার মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) ‘বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প এবং নৌপরিবহনের অগ্রগতি’ শীর্ষক এক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী নৌপরিবহন সেক্টরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে নৌপরিবহন সেক্টরে যে উন্নতি হয়েছে বিগত সময়ে তা হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে নৌবাহিনীর বহরে সাবমেরিন ও ফ্রিগেড যুক্ত হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ অনেক জাহাজ রেডিমেড না কিনে দেশীয় জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করছে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী যুগোপযোগী কর্মসূচি দিচ্ছেন।
তিনি নেভাল আর্কিটেক্টদের উদ্দেশে বলেন, হতাশা নয়, বাংলাদেশের নেভাল আর্কিটেক্টরা কর্মদক্ষতা দিয়ে বিশ্বে জায়গা করে নেবে, বাংলাদেশকে তুলে ধরবে।
এমআইএসটির নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এমআইএসটির কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান।
সেমিনারে বিআইডব্লিইটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব-উল-ইসলাম ‘নদীমাত্রিক বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাতের সমস্যাসমূহের সমাধান এবং এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের করণীয়’; নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম ‘জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানা কর্মসূচি এবং বিধিবিধান’ এবং ইঞ্জিনিয়ার এবিএম মাহবুবুর রশিদ ‘নতুন নতুন জাহাজের ডিজাইন প্রকৃতি ও কাঠামো বিশ্লেষণ’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
শিল্প ও নৌপরিবহন খাতের গুরুত্ব, উন্নতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিষয়ক গবেষণার ফল সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ব্যক্তিদের নজরে আনা এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দপ্তর, ডকইয়ার্ড, শিপইয়ার্ড, ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও নৌপরিহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ