আসামিদের সবাইকে পলাতক দেখিয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে রাজধানীর ওয়ারী, গেন্ডারিয়া ও সূত্রাপুর থানায় আলাদা সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওয়ারী থানার মামলা নম্বর-৩৩ ও ৩৪, গেন্ডারিয়া থানার মামলা নম্বর-২৮ এবং সূত্রাপুর থানার মামলা নম্বর- ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল।
তিনি বলেন, চার আসামির বাসার ভল্ট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের সবাই পলাতক। তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর ৩১ নম্বর বানিয়ানগর, ৮৩১ নম্বর লালমোহন সাহা স্ট্রিট ও নারিন্দার ২২১ নম্বর শরৎগুপ্ত রোডে আলাদা তিনটি অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে পাঁচটি ভল্ট থেকে নগদ ৫ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ২টি পিস্তল, ১টি শটগান, ১টি রিভলবার, ২টি এয়ারগান ও ৭২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের দিন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, প্রথম অভিযানে এনামুল ও তার ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার বাসা থেকে তিনটি ভল্টে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৭২০ ভরি সোনা ও ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
দ্বিতীয় অভিযানে ৮৩১ নম্বর লালমোহন সাহা স্ট্রিটে এনামুলের কর্মচারী আবুল কালামের বাসার একটি ভল্ট থেকে দুই কোটি টাকা ও গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়।
তৃতীয় অভিযানটি চালানো হয় নারিন্দার শরৎগুপ্ত রোডের ২২১ নম্বর রোডে এনামুলের বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায়। সেখানে আরও একটি ভল্ট থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।
মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অংশীদার এনামুল। বিপুল পরিমাণ এ টাকার সুনির্দিষ্ট উৎসের তথ্য জানতে না পারলেও ক্যাসিনোর টাকা বলে ধারণা করছেন অভিযান সংশ্লিষ্টরা। এত টাকা লুকিয়ে রাখার জন্য বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। এজন্য এনামুল তার টাকায় স্বর্ণ কিনে রাখতেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
পিএম/এএ