এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিতা বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৮টার দিকে নগরের নিরালা প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহারের উদ্বৃতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনুকুল চন্দ্র বলেন, ওই গৃহবধূর কাছে গহনা বানানো বাবদ ৩ হাজার ৬০০ টাকা পেতেন স্বর্ণকার সুদেব দাস। বুধবার সন্ধ্যায় ডা. দেখাতে যাবে বলে ফোনে ওই টাকা চান সুদেব। পরে ওই গৃহবধূ দুই হাজার টাকা জোগাড় করে তাকে দিতে চাইলে তিনি নিরালার প্রান্তিকার মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে যেতে বলে। এরপর গৃহবধূ একটা ইজিবাইক নিয়ে নিরালার আলকাতরা মিল থেকে ওই বাড়ির সামনে গেলে সুদেব ও তার সহযোগী ইয়াসিন শেখ, মো. বরণ ও আল-হেলাল শেখ তাকে বাড়ির দোতলার একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে সুদেব তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ইয়াসিনও তাকে ধর্ষণ করে। অন্য দুইজন ধর্ষণে সহযোগিতা করে গৃহবধূকে ঘরের মধ্যে রেখে চলে যায়। পরে গৃহবধূর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, এই ঘটনায় গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। দুপুরের পর পুলিশ চার নম্বর আসামি আল-হেলাল শেখকে নিরালার প্রান্তিকা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/