বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনির এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সাদুল্যাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে দুপুরে বিদ্যালয় থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ওসমান আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
ওসমান আলী উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ছোট ছত্রগাছা গ্রামের মৃত ছাদেক আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওসমান আলীর
বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করে আসছিল একাধিক ছাত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ক্লাস চলাকালীন সময় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ক্লাসের পড়া না হওয়ায় মারপিট করার ছলে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এনিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের অভিভাবকরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। একপর্যায়ে এ ঘটনা নিয়ে বিদ্যালয়ে শালিস বৈঠক হয়। এতে শিক্ষক ওসমান আলীর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান
নেন উপস্থিত লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এসময় পুলিশের সামনে চতুর্থ শ্রেণির এক ও পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রী ওই শিক্ষক ওসমান আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করে। তাদের কথা শুনে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওসমান আলীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
সাদুল্যাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেওয়ান মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক অবস্থায় শিক্ষক ওসমান আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ সঠিক বলে মনে হয়েছে। বিকেলে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এর পর সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক ওসমান আলী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে
বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
ওএইচ/