শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী আরিফ বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহত স্কুলছাত্র ইমন হোসেনের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় ইমনের সহপাঠী হৃদয়কে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।
ওসি মনসুর আলী জানান, আটক চারজনকে রাতভর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার সকালে ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই তাদের আদালতে পাঠানো হবে। আদালতে তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে। তা না হলে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন জানানো হতে পারে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে রাজশাহীতে স্কুলের মধ্যে টিফিনের খাবার নিয়ে বাকবিতন্ডায় সহপাঠীর হাতে ছুরিকাঘাতে ইমন হোসেনের (১৪) মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে ইমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ইমন হোসেন রাজশাহী মহানগরীর চারখুটা এলাকার ইউসেপ মোমেনা বখ্শ স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
মহানগীর কাশিয়াডংঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী আরিফ জানান, দুপুরে স্কুলে টিফিনের খাবার নিয়ে হৃদয় নামের এক সহপাঠীর সঙ্গে ইমনের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় হৃদয় তার কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ইমনের পেটে আঘাত করে। পরে শিক্ষকরা ছুটে আসেন। এ সময় তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এসএস/