ক্রেতারা বলছেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে কখনোই বরিশালের পাইকারি ও খুচরা বাজারে মাছের দাম তেমন কমেনি। বরং, নানা অজুহাতে সবসময়ই চড়া থাকছে এর দাম।
তবে বিক্রেদের দাবি, মাছের সরবরাহ চাহিদার চেয়ে কম, একারণেই দাম বাড়তি। তাছাড়া, গত কয়েকদিন বিরূপ আবহাওয়া থাকায় এরও কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
বরিশাল নগরের বাসিন্দা ও চাকরিজীবী জামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার ও শনিবার ক্রেতাদের বাড়তি চাপের কারণে মাছের চাহিদাও বেশি থাকে। তাই এই দু’দিন মাছের দরও বেশি।
পেশাগত কারণে সপ্তাহের পাঁচদিন না পারলেও শুক্র-শনিবার বাজারে আসেন জামাল হোসেন। শুধু তিনিই নন, শহরকেন্দ্রিক বেশিরভাগ মানুষ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বাজারে আসেন ও প্রয়োজনীয় বাজার-সদাই করেন। তাই, এ দিন অন্য সবকিছুর সঙ্গে মাছের চাহিদাও বেশি থাকে। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরাও মাছের দর বাড়িয়ে দেন।
ছুটি ও বিশেষ দিনে মাছের দর বেশি থাকার অভিযোগ রয়েছে আরও অনেক ক্রেতার। মিজানুর রহমান নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, তুলনামূলকভাবে গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে বাজারগুলোতে মাছ কম দেখা যাচ্ছে। আর দিন দিন এর দাম বেড়েই যাচ্ছে।
মাসুম ব্যাপারী নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, বৈরি আবহাওয়াসহ নানা কারণে বরিশালের পাইকারি বাজারে নদী ও সাগরের ইলিশসহ সব ধরনের মাছের সরবরাহ কিছুটা কম। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় দামও একটু বাড়তি।
শুত্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, বরিশালের বাজারগুলোতে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি রুই ২০০-৩০০, চিংড়ি ৬০০-১০০০, বেলে মাছ ৫০০-৭০০, তেলাপিয়া ১৩০-১৫০, পোয়া ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেশি হওয়ায় মাছের স্বাদ-পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। একারণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এমএস/একে