ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় ‘মনঃশিক্ষণ’ কার্যক্রম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় ‘মনঃশিক্ষণ’ কার্যক্রম

ঢাকা: মাদক নির্ভরশীল অর্থ্যাৎ মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ‘মনঃশিক্ষণ’ কার্যক্রমের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন মাদক নিরাময় বিশেষজ্ঞরা।

মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় তাদের আশেপাশের ব্যক্তিদের বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সাইকোলজিক্যাল জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে পারলে মাদকাসক্তি থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব বলেও মনে করেন তারা।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় বাংলাদেশ মাদকাসক্ত চিকিৎসা, সহায়তা ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে (বারাকা) মনঃশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ডিডি) মুকুল জ্যোতি চাকমা। বারাকা পরিচালক ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসির সহকারী পরিচালক মো. খোরশিদ আলম, সুব্রত সরকার, বারাকা ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাইকেল বটলেরু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসির উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা বলেন, মাদক আমাদের সমাজের জন্য একটি বিরাট সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে আমাদের সবার কাজ করতে হবে। আমাদের মতো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপশি বারাকার মতো নিরাময় কেন্দ্রগুলো কাজ করে যাচ্ছে। মনঃশিক্ষণ কার্যক্রম এসব কেন্দ্রগুলোতে সফল হবে আশা করি।

মুকুল জ্যোতি আরও বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ও তেজগাঁও এ একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র আছে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর এমন উদ্যোগের জন্য আমাদের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।

অনুষ্ঠানে মনঃশিক্ষণ কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বারাকার সাইকোলজিস্ট রাখী গাঙ্গুলী বলেন, সবার আগে আমাদের বুঝতে হবে যে, মাদকাসক্তি একটি রোগ। মাদক এক কেন্দ্রিক সমস্যা নয়, এর সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। এটি মন দৈহিক সামাজিক রোগ। নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে রোগী আসে সমাজ থেকে এবং চিকিৎসা শেষে আবার সমাজেই ফিরে যায়। তাই এ বিষয়টিকে আমাদের সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। তাই এক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মনঃশিক্ষণ দেওয়া।  

আর সভাপতির বক্তব্যে ব্রাদার রবি বলেন, আমরা প্রায়ই দেখি নিরাময় কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিয়ে পরিবারে ফিরে যাওয়ার কিছু দিনের মধ্যে একজন ব্যক্তি ফের মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এর কিছু সম্ভাবনা সবসময়ই থাকে এটা সত্য। তবে এটাও সত্য যে, আমাদের সমাজের অনেকের এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান বা সচেতনতা নেই। আমাদের এই মনঃশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে পুনরায় মাদকাসক্ত হওয়ার রেট কমে যাবে এবং একজন ব্যক্তি সফলভাবে মাদকের গ্রাস থেকে মুক্ত হতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। কারণ মাদকাসক্ত ব্যক্তি শুধু শারীরিকভাবে না বরং মানসিক ভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই তাদের মানসিকভাবে শক্ত করে তুলতে ভূমিকা রাখবে মনঃশিক্ষণ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাদকাসক্ত বিষয়ক কাউন্সিলর নবী হোসেন, জাকিউল আলম মিল্টন এবং আবদুল্লাহ আল ইমামসহ বারাকায় চিকিৎসারত মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এসএইচএস/ওএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।