শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ জনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই নজরুলকে গ্রেফতার হয়।
পুলিশ জানায়, আটক নজরুলসহ একই উপজেলার ভিটাসাইর গ্রামের মোকাদ্দেস (৫৫) ও সিংহডাঙা গ্রামের আরজু শেখ (৪৫) নামে দু’জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। তারা সবাই মাগুরা পাসপোর্ট কার্যালয়ের দালাল বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, সৌদি আরব যাওয়ার জন্য কয়েকমাস আগে পূর্ব পরিচিত নজরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। এরপর প্রশিক্ষণের কথা বলে চলতি বছরের আগস্ট মাসের ১৩ তারিখ তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মিরপুরের দারুস সালাম এলাকায় একটি বাসায় তাকে প্রায় এক মাস আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন আসামিরা। পরে কৌশলে পালিয়ে আসেন ওই গৃহবধূ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। পাচারের উদ্দেশে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্য অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এসআরএস