শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরের সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাশসক এস এম অজিয়র রহমান।
সনাক এর সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ গাজী জাহিদ হোসেন, কাজী সেলিনা, মনিরুল ইসলাম সোহানসহ অন্যান্যরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য জেলা প্রশাসক অজিয়র বলেন, তরুণদের অংশগ্রহণে সনাক আয়োজিত মানববন্ধনের সঙ্গে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি শিল্পোন্নত দেশসমূহের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক জলবায়ুর প্রভাবে অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ যেন ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পায় বিশ্ব দরবারে আমি তার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে উত্থাপিত দাবি গুলো হলো: কার্বণ নিঃসরণ হ্রাসে শিল্পোন্নত দেশসমূহকে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়া, শিল্পোন্নত দেশগুলোতে তেল, কয়লা এবং গ্যাসভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট পর্যায়ক্রমে দ্রুততার সঙ্গে বন্ধ করতে হবে, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বন ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নতুন কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন বন্ধ করতে হবে।
নবায়ণযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও অর্থায়নসহ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রস্তাবিত ১০০ বিলিয়ন ডলার রূপরেখায় অভিযোজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে পর্যাপ্ত জলবায়ু তহবিল বরাদ্দ নিশ্চিতের পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে, দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ দেওয়া, নীতি মান্য করে ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণ হিসেবে সরকারি অনুদান দিতে হবে। জলবায়ু অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি), আন্তর্জাতিক অর্থ-লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের চাপ বা কৌশল উপেক্ষা করে বাংলাদেশের ন্যায্য প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে অনুদান সংগ্রহে সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে। জলবায়ুতাড়িত বাস্তুচ্যূতদের পুনর্বাসন, কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতে সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ) এবং অভিযোজন তহবিল থেকে বিশেষ তহবিল বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল নির্ধারণ ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ, নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/