শুক্রবার (২৭ সেপ্টম্ববর) দুপুর থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
রায় গ্রামে ইটখোলা মাঠে যুব সংঘ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মত এ মেলার আয়োজনে করে।
ছেলে-মেয়রা লম্বা লাইন দাঁড়িয়ে সাপের খেলা ও হা-ডু-ডু খেলা দেখতে ভিড় করেন। এসময় আবার সাপ ধরেও দেখছেন অনেকে।
মেলায় ঝিনাইদহ, ফরিদপুর, নড়াইল, মাগুরা, যশোর থেকে আগত ১০ জন সাপুড়িয়া তাদের সাপের খেলা ও গান শুনিয়ে দর্শনার্থীদের মন ভরিয়ে তোলেন। গানের তালে তালে নেচে গেয়ে সাপের খেলা দেখান তারা।
মেলায় আগত ঝিনাইদহ থেকে আশা দর্শনার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, এটি যেন একেবারেই গ্রামের মেলা, ছোট বেলায় গ্রামের বাড়িতে দেখছি। এখন আর এসব মেলা, সাপের খেলা, হা-ডু-ডু খেলা হয় না।
তিনি আরও বলেন, শহরের অধিকাংশ শিশুই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা থেকে বঞ্চিত, তাদের জন্য এ ধরনের আয়োজন করা উচিত।
মাগুরা সরকারী হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ইলিয়াস হোসেন বলেন, নাগরদোলা, বায়স্কোপ, সাপের খেলা, কানামাছি, দারিয়াবান্দা, হা-ডু-ডু, বাদর নাচ, লাঠিখেলা এ যেন বাঙালির প্রাণের খেলা। সময়ের পালা বদলে এসব খেলা এখন আর চোখে পড়ে না। তবে আমাদের উচিত বাঙালির প্রাণের এসব খেলাগুলো আবার জাগিয়ে তোলা। তাহলে নতুন প্রজন্ম আমাদের প্রকৃত সাংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে।
এ মেলায় আব্দুল রাজ্জাকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মীর আব্দুর রাজ্জাক, শহিদুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
আরএ