শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এদিকে তার এ বদলির ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হলেও জেলা প্রশাসন এটিকে রুটিন ওয়ার্ক বলে দাবি করেছে।
বিকেলে ইউএনও’র বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সাইফুর রহমানকে বদলি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে মর্মে চিঠি পেয়েছি।
বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম সাইফুর রহমান বলেন, আমরা সরকারি চাকরি করি। সরকার যেখানে ঠিক মনে করে সেখানে নিয়ে যায়। তবে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলার পর থেকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছিল। মামলার পর আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি। উপরন্তু তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হলে বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন। এমন পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে এ কর্মস্থল ত্যাগ করলাম।
তিনি আরও বলেন, মামলাটি আমি রিভিউয়ের জন্য ইতোমধ্যে আইনজীবী নিয়োগ করে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেছি।
এ বিষয়ে ইউএনওর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসিম সরকার হাকিম বলেন, বাদীকে নোটিশ না করে ওই মামলাটি খারিজ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাদী মামলাটি রিভিউয়ের জন্য ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেছেন।
সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম প্রতিরোধ এবং খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহে বাধা দেওয়ায় গত ২২ মে দুপুরে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজাসহ ২০/২৫ জন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুলের কক্ষে গিয়ে ইউএনওকে গালিগালাজ করে। এসময় তারা ইউএনওকে হত্যার হুমকিও দেয়।
এ ঘটনায় ইউএনও সাইফুর রহমান বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা রেজাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি আরমান, কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াদ, যুবলীগ নেতা রিপন, সাইদুল, জহুরুল এবং সোহাগ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ