ইতোমধ্যে মণ্ডপগুলোতে সব প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। চলছে প্রতিমার রং তুলির কাজ।
এদিকে জেলার ৪২টি মণ্ডপকে অধিক গুরুপ্তপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মণ্ডপগুলোতে থাকবে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানিয়েছে, এ বছর জেলার ৭টি উপজেলায় ১০৭টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ২৫টি, দৌলতখান উপজেলায় ৬টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২০টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১২টি, লালমোহন উপজেলায় ১৭টি, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৭টি ও মনপুরা উপজেলায় ১০টি।
গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪টি মণ্ডপে বেশি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শহরের বেশ কয়েকটি পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমা তৈরি শেষে তাতে রং তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। মণ্ডপ সাজ সজ্জা আর ডেকরেটরের কাজ চলছে পুরো দমে। আলোকসজ্জা আর বাহারি সাজে গেট নির্মাণ করা হচ্ছে। পূজোর দিন যত ঘনিয়ে আসছে মণ্ডপ সাজানোর কাজ নিয়ে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে পূজা কমিটির নেতাদের। শহরের পাশাপাশি গ্রামের পূজা মণ্ডপগুলোতে বাহারি সাজে সাজানোর কাজ চলছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজার সব প্রস্তুতি সম্পন্নের দিকে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় সভা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সার্বক্ষণিক মণ্ডপের তথ্য সরবরাহে জেলা সদরের ২টিসহ প্রতি উপজেলায় ১টি করে মোট ১০টি কন্ট্রোল রুম (তথ্য সেল) খোলা থাকবে। এছাড়াও প্রশাসনের পাশাপাশি পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশে প্রতিটি মণ্ডপে ১০ সদস্যের ভলান্টিয়ার টিম মোতায়েন থাকবে।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার জানান, মণ্ডপে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও পুলিশ ও র্যাবের মোবাইল টিম থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
আরএ