ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীতে ১৪০ মণ্ডপে দুর্গোৎসব

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
ফেনীতে ১৪০ মণ্ডপে দুর্গোৎসব

ফেনী: দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ফেনীর ১৪০ মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। কোনো মণ্ডপে শেষ হয়েছে মাটির কাজ। আবার কোথাও প্রতিমাগুলো রঙিন করার কাজে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা। তুলির আঁচড়ে সুন্দর করে তোলা হচ্ছে দুর্গা, গণেশ, কার্তিক ও মহিষাসুরের প্রতিমা। মন্দির সাজসজ্জায়ও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগরসহ স্থানীয়রা।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, আগামী ৪ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে ৮ অক্টোবর শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় পূজায় ফেনীতে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ পুণ্যার্থী জেলার শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করবেন।

এবার ফেনী পৌরসভায় ১১টি, ফেনী সদর উপজেলায় ৪৫টি, দাগনভূঞায় ১৮টি, সোনাগাজীতে ২২টি, ছাগলনাইয়ায় ৫টি, ফুলগাজীতে ৩৩টি ও পরশুরামে ৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শহরের জগন্নাথ বাড়ি কমপ্লেক্স, গুরুচক্র মন্দির, কালী বাড়ি মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও বাঁশপাড়া কোয়ার্টার, কালীদহ ইউনিয়নের তুলা বাড়িয়া এলাকার বীনা পানি ক্লাব, পরশুরামে সাতঞ্জী বাড়ি মন্দির, ফুলগাজীর জগন্নাথ বাড়ি মন্দির, দাগনভূঞার কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ অধিকাংশ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। কিছু কিছু মণ্ডপে চলছে শেষ মূহূর্তের রং-তুলির ছোঁয়া।

উৎসবের প্রথম দিন দেবীর আগমন বোধন ষষ্ঠী পূজা, দ্বিতীয় দিন মহাসপ্তমী, তৃতীয় দিন মহাঅষ্টমী, চতুর্থ দিন মহানবমী ও সন্ধিপূজা এবং শেষ দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দশমী বিহীত পূজা উদযাপিত হবে। মণ্ডপে মণ্ডপে পুষ্পমাল্য ও বিলপত্রের মাধ্যমে পুষ্পাঞ্জলি, ধুপ-কুশির মাধ্যমে প্রতিমা আরতি, অন্ন প্রসাদ ও পুরোহিত দ্বারা চণ্ডিপাঠসহ নানা সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

এদিকে, প্রতিবছরের মত এবারও ফেনীর ১৪০টি পূজা মণ্ডপে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান দিয়েছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। গত ২১ সেপ্টেম্বর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের হাতে অনুদান তুলে দেন তিনি।

ফেনী সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সওরোজ চক্রবর্তী জানান, বিগত প্রায় একমাস ধরে শিল্পীরা নান্দনিক ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। ফেনীতে প্রতিমা তৈরির শিল্পী না থাকায় কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম থেকে শিল্পী এনে জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরি করা হয়। প্রতিটি পূজামণ্ডপে প্রতিমা নির্মাণে প্রকারভেদে ২০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা শিল্পীদের দিতে হয়।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজীব খগেশ দত্ত জানান, দুর্গোৎসবে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে একাধিকবার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।