ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মহাত্মা গান্ধীকে জানতে হবে একটু একটু করে

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৯
মহাত্মা গান্ধীকে জানতে হবে একটু একটু করে ভারতীয় হাইকমিশনের অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: বাংলানউজ

ঢাকা: সময়টা ১৯৪০ সাল। ভারত ছিল ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে। সে সময় সাদাসিধে পোশাক পরা এক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির কাছে হার মানতে হয়েছিল প্রতাপশালী সেই সাম্রাজ্যকে। তিনি মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, যিনি মহাত্মা গান্ধী নামেই বেশি পরিচিত।

মহাত্মা গান্ধী শব্দটির অর্থ হচ্ছে ‘মহান আত্মা’। তার অহিংস আন্দোলনের উদাহরণ আজকের দিনেও বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।

অহিংস বাণী ছড়িয়ে দেওয়া সেই মহান মানুষটির ১৫০তম জন্মবার্ষিকী বুধবার (২ অক্টোবর)।

মহাত্মা গান্ধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষ পালন উপলক্ষে সকালে রাজধানীর বারিধারায় ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠান। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্টদূত রীভা গাঙ্গুলি দাশ। আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ভারতীয় হাইকমিশনের পদস্থ কর্মকর্তাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মহাত্মা গান্ধীর মতে একটা সুন্দর পৃথিবী গড়তে হলে সেটির শুরু হতে হবে শিশুদের কাছ থেকে। আর শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ইচ্ছাশক্তি। আমাদের ইচ্ছাশক্তি যদি প্রবল থাকে, তবে স্বপ্ন ছুঁতে না পারলেও আমরা তার অনেক কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবো। এটিও গান্ধীজিরই শিক্ষা। আমাদের সবার উচিত প্রতিদিন একটু একটু করে তার জীবন থেকে শেখা। কেননা, তিনি শুধু ভারতের নন, সমগ্র বিশ্বের।

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় মহাত্মা গান্ধীর অবদান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের আগপর্যন্ত অসহযোগ আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধীর অবদান অনস্বীকার্য। তার অহিংসবাদ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই বঙ্গবন্ধু কোনো ধরনের সহিংস আন্দোলনে যাননি। বরং, অহিংসভাবে এতো মানুষকে একত্রিত করা অনেক বড় ব্যাপার।  

ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের একটাই পৃথিবী। প্রতিদিন নিজেদের অবহেলাতেই তা একটু একটু করে ধ্বংস হচ্ছে, ধ্বংস করছি। আমরা প্রবীণরা এই পৃথিবীটা আরও ভালো পেয়েছিলাম, যেটা এখন নেই। আমরা তা নিজেদের ভুলে টিকিয়ে রাখতে পারিনি। সেই অপরাধবোধ থেকেই বলছি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে পারলে তার থেকে বড় আর কিছু হবে না। আর, তার শিক্ষা নিতে হবে মহাত্মা গান্ধীর মতো মানুষের কাছ থেকেই।

এর আগে, শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্টদূত রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, শুধু সেমিনার বা ক্যাম্পেইন করে মহাত্মা গান্ধীকে জানা যাবে না। তাকে একটু একটু করে প্রতিদিন জানতে হবে। মহাত্মা গান্ধী শুধু কথা বলেননি, বরং তার কথাগুলো নিজের জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। তার বিভিন্ন শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য তারুণ্যই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

বক্তব্য রাখছেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলি দাশ।  ছবি: বাংলানিউজ

এসময় শিক্ষার্থীরাও মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে আয়োজন শেষে শর্মিলা ব্যানার্জির কোরিওগ্রাফিতে পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য। এতে ফুটিয়ে তোলা হয় মহাত্মা গান্ধীর জীবনের বিভিন্ন দিক।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারতীয় হাইকমিশনে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের (আজিসিসি) পরিচালক ড. নীপা চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এইচএমএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।