বুধবার (০২ অক্টোবর) গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দু’টি দায়ের করা হয়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতার সেলিম প্রধান এবং তার দু’সহযোগী আক্তারুজ্জামান ও রুমানের নামে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে সেলিম প্রধানের হেফাজত থেকে দু’টি হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই দণ্ডে তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বলেও জানান ওসি কামরুজ্জামান।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থাই এয়ারওয়েজের ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র্যাব। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইট ছাড়ার আগ মুহূর্তে তাকে আটক করা হয়। এরপর সেলিম প্রধানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার গুলশানের কার্যালয় এবং বনানীর বাসায় অভিযান চালান র্যাবের সদস্যরা।
এ অভিযানে ৪৮টি বিদেশি মদ, ২৯ লাখ টাকা, ২৩টি দেশের মোট ৭৭ লাখ সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ২টি হরিণের চামড়া, ৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক এবং অনলাইন গেমিং পরিচালনার একটি বড় সার্ভার জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ু>>লন্ডনে যেত সেলিমের অনলাইন ক্যাসিনোর টাকা
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) অভিযান শেষে র্যাব জানায়, অনলাইনে ক্যাসিনোতে জুয়াড়িদের টাকা তিনটি গেটওয়েতে জমা হত। সেলিম প্রধানের সহকারী মো. আক্তারুজ্জামান প্রতি সপ্তাহে সেসব গেটওয়ের টাকা তুলে সেলন, যমুনা ও কমার্শিয়াল তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতেন। এরপর সেসব টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বা ব্যক্তির সঙ্গে করে বিদেশে চলে যেত। এমনকি বিভিন্নভাবে লন্ডনেও টাকা পাঠিয়ে আসছিলেন সেলিম প্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
পিএম/এএটি