ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে আমরণ অনশনে অটোরিকশা শ্রমিকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৯
বরিশালে আমরণ অনশনে অটোরিকশা শ্রমিকরা কর্মসূচিতে অটোরিকশা শ্রমিকরা। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশালে অভিযান বন্ধের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকরা।

বুধবার (০২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নগরের সদররোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচি শুরু করেন ওই শ্রমিকরা।

বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া অটোরিকশা উচ্ছেদ বন্ধ করে প্রয়োজনীয় নীতিমালার ভিত্তিতে যানগুলো চলাতে দেওয়া এবং পুলিশের অভিযানে জব্দ করা যানগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি আদায়ের লক্ষে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় অটোরিকশা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম কমিটি, বরিশাল মহানগর রিকশা-ভ্যান-শ্রমিক ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ব্যানারে অনশন কর্মসূচির পক্ষে নগরে একটি মিছিল বের করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাসদের বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন, বাসদের বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সচিব ও রিকশা-শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, গণসংহতি আন্দোলনের বরিশাল জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু, বরিশাল মহানগর রিকশা-ভ্যান-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দোজা সৈকত, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের রুস্তম হাওলাদার, অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির সভাপতি শাহজাহান মিস্ত্রিসহ শ্রমিক এবং পরিবারের সদস্যরা।

মিছিল শেষে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে দাবি আদায়ের লক্ষে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা। যেখানে ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীসহ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন।

দলটির পাঠানো এক বিবৃতিতে বাসদের জেলা আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন, সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী ও অন্যান্য রিকশা শ্রমিক নেতারা বলেন, গত ১৯ আগস্ট থেকে কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বরিশাল শহরে দফায় দফায় অটোরিকশা উচ্ছেদের নামে নির্মম প্রশাসনিক অভিযান চলছে। প্রায় দু’মাসব্যাপী এই অভিযানে এ পর্যন্ত পাঁচশোর বেশি অটোরিকশা আটক করা হয়েছে এবং প্রায় প্রতিটি রিকশার ব্যাটারি-মোটর খুলে রাখা হয়েছে। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। এই বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি দরিদ্র অটোচালকরা শিকার হয়েছে নানাবিধ আর্থিক হয়রানি ও নির্যাতনের।

অনশন কর্মসূচিতে ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন, যেহেতু সারাদেশে এই অটোরিকশা চলছে। তাই শহরের ব্যস্ততম রাস্তা বাদ দিয়ে এই যানটি চললে কোনো সমস্যা হবে না এবং বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান বরিশালের স্থিতিশীলতার জন্যও ভালো ফল বয়ে আনবে না।

বরিশাল সিটি করপোরেশন প্যাডেল চালিত রিকশার অনুমতি অর্থাৎ লাইসেন্স দেওয়া হলেও ব্যাটারিচালিত এ যানবাহন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শুরু থেকেই তারা কোনো লাইসেন্স দেননি। লাইসেন্স ছাড়াই এ রিকশা নগরে চলাচল করেছিল। তবে, সম্প্রতি উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় এ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে পুলিশ।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এমএস/এবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।