ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যবসায়ীর হারানো টাকা ফিরিয়ে দিলেন পুলিশ সদস্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৯
ব্যবসায়ীর হারানো টাকা ফিরিয়ে দিলেন পুলিশ সদস্য হারানো টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আসল মালিককে। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: ব্যবসায়ীর হারানো প্রায় আধা লাখ টাকা, ব্যাংকের চেক ও এটিএম কার্ডসহ জরুরি কাগজপত্র ফিরিয়ে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট টাউন সাব-ইন্সপেক্টর (এটিএসআই) মো. ইউসুফ।

পুলিশ সদস্যের এমন সততার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। হারানো টাকাসহ জরুরি কাগজপত্র অপ্রত্যাশিতভাবে ফিরে পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।

বিএমপির এটিএসআই মো. ইউসুফ বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে বান্দরোডে ডিউটি করছিলাম। একসময় সেখানে নতুল্লাবাদ থেকে আসা একটি অটোরিকশা এসে দাঁড়ায়। এক বৃদ্ধ অটোরিকশা থেকে নামার সময় হঠাৎ একটি টিস্যু পেপারের প্যাকেট পড়ে যায়। পাশের এক চায়ের দোকানদার প্যাকেটটি ওই বৃদ্ধের কি-না জানতে চাইলে, তিনি ‘না’ বলে চলে যান। এরপর আরেক লোক সেটি হাতে নিয়ে দেখেন ও কৌশলে চলে যেতে থাকেন।  

‘বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে চায়ের দোকানদারকে সঙ্গে নিয়ে ওই লোকটিকে আটকে প্যাকেটটি দেখতে চাই। সেটি খুলে ভেতরে ব্যাংকের দু’টি চেক, দু’টি এটিএম কার্ড, নগদ ৪৬ হাজার ৫০২ টাকা ও কিছু কাগজপত্র পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। আর প্যাকেটের মধ্যে থাকা একটি ক্যাশমেমোর সাহায্যে এর আসল মালিককে খুঁজে বের করি। ’

ভাড়ায় চালিত গাড়ির ব্যবসা করেন নগরের কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা মাহাবুব সিকদার। টাকার প্যাকেটের আসল মালিক তিনিই।

মাহাবুব সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে নগরের নতুল্লাবাদ থেকে অটোরিকশায় সিঅ্যান্ডবি ১ নম্বর পুল এলাকায় যাই। সেখানে একটি অফিসে দু’টি গাড়ির টিকিট পৌঁছে দিতে গিয়ে দেখি, পকেটে থাকা টিস্যুর প্যাকেটটি নেই। এর মধ্যে নগদ ৪৬ হাজার ৫০২ টাকা, ব্যাংকের দু’টি চেক, দু’টি এটিএমকার্ডসহ প্রয়োজনীয় বেশ কিছু কাগজপত্র ছিল। ’

‘এরপর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করি। কিন্তু, প্যাকেটটি কোথাও না পেয়ে খুব হতাশ লাগছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই এক পুলিশ সদস্য ফোন করে প্যাকেটটি পাওয়ার কথা জানান। ’

পরে, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টাকা-কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয় এগুলোর আসল মালিকের হাতে।

মাহাবুব সিকদার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, কার্ড দু’টিতে ব্যবসায়িক কাজের প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিল, চেক দুটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হারানোর পর সেগুলো এভাবে ফিরে পাবো, কখনো ভাবিনি।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ সদস্যরা যে স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন, এটা তারই প্রমাণ। আশা করি, এ ধরনের ঘটনায় আমাদের ওপর মানুষের বিশ্বাস বাড়বে।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এমএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।