বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৬ (মোংলা) এর বিচারক মো. আছাদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় মোংলা বন্দরের ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ বিএনএস নিশান ওই এফবি মা লক্ষ্মী নামের একটি ট্রলারসহ জেলেদের আটক করে।
পরে সমুদ্র থেকে ফিরে মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) রাতে তাদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়। নৌবাহিনীর পেটি অফিসার মো. আবুল মঞ্জুর বাদী হয়ে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে ১৮৯৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় মোংলা থানায় মামলা করেছেন।
বুধবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে আটক জেলেদের মোংলা থানার পক্ষ থেকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আটক জেলেরা হলেন- ভোলানাথ দাস (৬০), মিন্টু দাস (২৫), বাবুল সরকার (৪২), উত্তম দাস (২৬), কিরণ দাস (৬৫), রাজেশ দাস (৩৩), কার্ত্তিক দাস (৪৫), আনন্দ দাস (৫০), নেপাল দাস (২৬), বাসুদেব দাস (৩০), সূর্য্য দাস (২৬), উত্তম দাস (৩৫), সোনারাম দাস (৫১), বিমল দাস (৪৮) এবং পিল্টন দাস (২৩)।
এদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁকদ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
বাগেরহাটের মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক হওয়া জেলেদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাগেরহাট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক দীলিপ কুমার সরকার বলেন, দুপুরে বাগেরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৬ (মোংলা) এর বিচারক মো. আছাদুল ইসলাম আটক জেলেদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
আরএ