মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) রাতে মাধবদীর আমদিয়া ইউনিয়নের চাঁনগাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত গৃহবধূ রানী আক্তার চাঁনগাও এলাকার আতাউর রহমানের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন রানী আক্তার। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তালের পিঠা তৈরি করেন মা রিনা বেগম। রাতে রিনা বেগম মেয়ে ও ছেলের ঘরের নাতি-নাতনীদের নিয়ে ওই পিঠা খান। পিঠা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজন তাদের রাতেই নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে রানী আক্তার মারা যান। বাকিদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢামেকে পাঠানো হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আমীরুল হক শামীম বাংলানিউজকে বলেন, পিঠার আলামতটি আমরা ল্যাব টেস্টে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পরে বলা যাবে ঠিক কী কারণে পিঠা বিষক্রিয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পিঠায় ব্যবহৃত রং বা পিঠায় বিষাক্ত পদার্থ থেকে বিষক্রিয়া হয়েছে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সাফায়েত হোসেন পলাশ বাংলানিউজকে বলেন, বাড়িতে তৈরি তালের পিঠা খেয়ে সবাই অসুস্থ হয়েছেন। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। ওই গৃহবধূর মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পিঠায় কিভাবে বিষক্রিয়া হয়েছে সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এনটি