বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সামাজিক সংগঠন 'মহাত্মা গান্ধী স্মারক সনদ’র এক শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন আবুল মকসুদ।
সংগঠনের সভাপতি এ বুদ্ধিজীবী বলেন, মহাত্মা গান্ধী রাজনীতি করেছেন দীর্ঘকাল।
সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌস। তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী যে অহিংসা শিখিয়ে গেছেন আমরা বর্তমানে তা দেখতে পাচ্ছি না। এমনকি ভারতেও সেটি একটু ঘোলাটে পরিস্থিতির। সেখানেও মানুষকে ধর্ম দিয়ে বিচার করা হয়। অসাম্প্রদায়িকতার পরিবর্তে সাম্প্রদায়িকতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে অহিংস সমাজ গঠনে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে। আর তার সব থেকে বড় দিকপাল হতে পারেন মহাত্মা গান্ধী।
গান্ধীজীকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ন্যাপের পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, উপমহাদেশসহ সারা দুনিয়ায় যেখানে হিংসার চর্চা চলছে, সেখানে সাম্প্রদায়িকতা রুখবো বলে আমরা শপথ নিতে পারি। জনকল্যাণের রাজনীতি এখন লুটপাটের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সেগুলোকে গান্ধীর অহিংসাবাদ দিয়েই রুখতে হবে।
আধিপত্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার সমালোচনা করে সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, পুরো দুনিয়াটাই যেন এখন উল্টো পথে চলছে। আধিপত্য বিস্তারে লড়ছে সবাই। এটিকে প্রতিহত করা ছাড়া আমরা কখনই সামনের দিকে এগোতে পারব না। আর তার জন্য গান্ধী চর্চা অপরিহার্য। তবেই আমরা মানুষকে ভালবাসতে পারব, হিংসামুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারব।
সমাবেশ শেষে একটি শান্তি মিছিল জাতীয় জাদুঘর থেকে টিএসসি চত্বর প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহাত্মা গান্ধী স্মারক সনদের সমন্বয়ক হুমায়ুন কবীর সুমন। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ০২ অক্টোবর ২০১৯
এইচএমএস/এইচজে