তিনি বলেছেন, পৃথিবীর সম্পদ কেবল অল্প কিছু লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে তা-ই নয়, এই সম্পদ ক্রমাগতভাবে পৃথিবীর হাতে গোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। এতে অন্য এলাকা সম্পদ হারাচ্ছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের পাশাপাশি বিশ্ব নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
হার্ভার্ড ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘টেকসই উন্নয়নের যুগে ভূ-রাজনীতি’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজক ছিলেন মানবাধিকার ফাউন্ডেশন রবার্ট এফ কেনেডি: রিপলস অব হোপ’এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কেরি কেনেডি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩০ জন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সাবেক প্রধান নির্বাহীরা এতে যোগ দেন। এর মধ্যে আরব লীগের সাবেক মহাসচিব আমরে মুসা, চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আয়ান ফিশার, বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক ভাইস-প্র্রেসিডেন্ট ইসমাইল সেরাগেলদিন, মার্কিন বৈদেশিক নীতি বিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী সুসান ইলিয়ট, ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আইভো জোসিপোভিক, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জলাটকো লাগিউমদিজা, বেলজিয়ামের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইভেস লেটারমে, গ্রিসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রু, বুলগেরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোজেন প্লেভনেলিয়েভ, স্লোভেনিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডানিলো টার্ক, ভারতের নোবেল লরিয়েট কৈলাশ সত্যার্থী প্রমুখ।
ড. ইউনূস বলেন, কেউ কেউ বলছে, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স মানুষের সব কাজ নিয়ে নিলেও মানুষের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ থাকবে না, কেননা মানুষ তখন সরকারের রাজস্ব থেকে দেওয়া সার্বজনীন মৌলিক আয়ে ভালোভাবে বাঁচতে পারবে।
এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স যদি সব কাজই মানুষের কাছ থেকে নিয়ে নেয় তাহলে মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকার বলে আদৌ কিছু থাকবে এমন কোনো নিশ্চয়তা অনুভব করার কোনো কারণ থাকবে না। তাছাড়া মানুষ তার দৈহিক অস্তিত্বের জন্য ভিক্ষুকে পরিণত হয়েছে। এমন একটা যুগ আসুক তা ঠিক হবে না।
জাতিসংঘ সপ্তাহ চলাকালে প্রফেসর ইউনূস টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বিষয়ক জাতিসংঘ শীর্ষ বৈঠকেও যোগ দেন। এছাড়া বিশ্ব নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রফেসর ড. ইউনূস।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এমএ/