ঢাকা, বুধবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘স্যার, বাঁশি তো বাজে না জরিমানা কেন’

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৯
‘স্যার, বাঁশি তো বাজে না জরিমানা কেন’

ঢাকা: ‘স্যার, বাঁশি তো বাজে না। তার খুইলা রাখছি। তারপরও দুই হাজার ট্যাকা জরিমানা কইরা দিলেন। এইবারের মতো ছাইড়ে দেন, স্যার। আর গাড়িতে বাঁশি রাইখবো না।’

বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার সময় এভাবে আকুতি জানাচ্ছিলেন রাজধানীর উত্তরা-দিয়াবাড়ী-নিউমার্কেটগামী এসি বাস শতাব্দী পরিবহনের চালক মোহাম্মদ ফরিদ।  বিকট আওয়াজ সৃষ্টিকারী হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার করার অপরাধে তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বুধবার (০২ অক্টোবর) গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হয়। এ সময় হাইড্রোলিক বাজানোর ঘটনায় বাসচালক ফরিদকে জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে তার বাস থেকে তিনটি হাইড্রলিক হর্ন খুলে নিয়েছেন কর্মকর্তারা।   

শতাব্দী পরিবহনের বাসটি।  শুধু শতাব্দী পরিবহন-ই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী  পরিবহনেই রয়েছে অবৈধ হাইড্রোলিক হর্ন। শব্দ দূষণ বন্ধে ২০১৭ সালে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশে যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু এরপরও এর ব্যবহার চলছেই। এসব তদারকি করতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে বিআরটিএ।
 
বিআরটিএ-র পরিদর্শক আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, হাইড্রোলিক অবৈধ এরপরও ভারি যানবাহন এগুলো ব্যবহার করছে। শব্দ দূষণে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাইওয়েতে আমরা অনেক বেশি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করে থাকি।  

‘ঢাকা শহরে বড় বড় যানবাহনে এগুলো ব্যবহার করছে। আমরা সন্দেহ হলেই এগুলো থামিয়ে প্রথমেই চেক করছি। হাইড্রোলিক হর্ন হলে জরিমানা করা হচ্ছে। বিকট হর্নের কারণে শহরের অনেকের মেজাজ অল্পতেই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং কোনোভাবেই যানবাহনে হাইড্রোলিক ব্যবহারে ছাড় দিচ্ছি না। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এমআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।