বুধবার (০২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্ত্বরে শুরু হওয়া এ অনশন কর্মসূচি প্রথম রাত পার করেছে।
রাত ১১টার পর বেশ কয়েকজন অনশনকারী অসুস্থ বোধ করেন।
অনশন পালনকারী শ্রমিকরা বলেন, গত ১৯ আগস্ট থেকে কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বরিশাল শহরে দফায় দফায় ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদের নামে নির্মম প্রশাসনিক অভিযান চলছে। প্রায় দুই মাসব্যাপী এই অভিযানে এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করা হয়েছে এবং প্রায় প্রতিটি গাড়ির ব্যাটারি-মোটর খুলে রাখা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। এই বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি দরিদ্র রিকশা চালকরা শিকার হয়েছেন নানাবিধ আর্থিক হয়রানি ও নির্যাতনের।
এদিকে অনশনের শুরুতে ডা. মনীষা চক্রবর্তী রিকশা শ্রমিকদের এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা এবং ধারাবাহিক আন্দোলনের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে এসেছি। প্রশাসনের সঙ্গে রিকশা শ্রমিকদের সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছি, কিন্তু কেউই কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ অবস্থায় রিকশা শ্রমিকদের আমরণ অনশন ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা ছিল না। এমনিতেই শ্রমিকেরা বাসাবাড়িতে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। সেই অনাহারে থাকাটা রাজপথে জনগণের সামনে হওয়াটাই ভালো।
ডা. মনীষা চক্রবর্তী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এটা কোনো প্রতীকী অনশন নয়, শ্রমিকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমি এই শ্রমিকদের সঙ্গে আমরণ অনশনে অংশ নেবো এবং এ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসন এবং সিটি কর্পোরেশন দায়ী থাকবে।
অনশন কর্মসূচি পালনকারীরা জানান, প্রথম দিনে কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এমএস/জেডএস