যদিও পৃথিবীর উন্নত অনেক দেশ বহু আগেই পরিবেশবান্ধব এ বাহনের দিকেই ঝুঁকেছে। এমনকি ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের শহরগুলোর ৫০ ভাগ মানুষই বাইসাইকেলে যাতায়াত করে।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, উন্নত দেশগুলোর মতোই ঢাকায় বাইসাইকেলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এজন্য রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নয় কিলোমিটার লেন তৈরি করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আগারগাঁও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উত্তরপ্রান্ত থেকে এলজিইডি সড়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পর্যন্ত এই লেন তৈরির কাজ চলছে। ফলে এটি হবে ঢাকা নগরের প্রথম সাইকেল লেন।
ডিএনসিসি কর্মকর্তারা বলছেন, নয় কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ইতোমধ্যে ২৮৫ মিটারের কাজ শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ হবে। ফলে স্বাধীনতার মাসেই এটি সাইকেল চালকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। জানা গেছে, মূল সড়কের দুই পাশে সাইকেলচালকদের জন্য ছয় ফুট করে জায়গা রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিকমান অনুযায়ী বাইসাইকেল লেন পাঁচ ফুটের হয়। কিন্তু ডিএনসিসি ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে লেনটি ছয় ফুট জায়গা নিয়ে তৈরি করছে।
ডিএনসিসির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাইক্লিস্টরা। তারা বলছেন, যানজটের এ নগরে বাইসাইকেল চালানো অনেক কষ্টসাধ্য। ভয়ানক যানজট, বেপরোয়া গাড়িচালক ও মোটরসাইকেলের আধিক্যের কারণে বাইসাইকেল চালানোই দায়। ডিএনসিসির এ উদ্যোগ ওই যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।
নিয়মিত বাইসাইকেল চালান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী তাসফিয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ডিএনসিসির এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। শুধু এ এলাকায় নয়, পুরো ঢাকা শহরে যদি এ লেন তৈরি করা যায়, তাহলে মানুষ সাইকেলে ঝুঁকবে।
‘ফলে গাড়ি কমে যাবে, সেই সঙ্গে যানজটও কমবে। এছাড়া এ বাহন চালালে মানুষের ফিজিক্যাল ফিটনেসও ভালো থাকে। এটি পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মতও,’ যোগ করেন তিনি।
ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শরীফ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আন্তর্জাতিকমান বিবেচনায় রেখে সাইকেল লেনটি করছি। সেই মান অনুযায়ী বাইসাইকেল লেন পাঁচ ফুটের হয়। কিন্তু আমরা এখানে লেনটি ছয় ফুট রেখেছি। এছাড়াও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতেও এক কিলোমিটারের মতো সাইকেল লেন করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন এ কর্মকর্তা। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে চাই। এটি সেই পদক্ষেপেরই একটি অংশ।
তিনি বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশের আদলেই ঢাকা শহরকে গড়তে চাই। এজন্য নাগরিকদের সহযোগিতা চাই। নাগরিকরা নিয়ম মেনে চললে সব কিছুই করা সম্ভব।
মেয়র বলেন, ঢাকায় সাইকেল চালকদের জন্যে বিশেষ কোনো রাস্তা নেই। এটিই ঢাকার প্রথম সাইকেল লেন। তাই সাইকেলপ্রেমীদের জন্যে এটি দারুণ খবর।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
টিএম/এসএ