অনশনের প্রথম দিন পার হতে না হতেই বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। যাদেরকে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে অনশনস্থলে বসেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়।
অনশনরত শ্রমিকরা বলেন, গত ১৯ আগস্ট থেকে কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বরিশাল শহরে দফায় দফায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উচ্ছেদের নামে প্রশাসনের নির্মম অভিযান চলছে। প্রায় দুই মাসব্যাপী এই অভিযানে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আটক করা হয়েছে এবং প্রায় প্রতিটি গাড়ির ব্যাটারি-মোটর খুলে রাখা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। এই বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি দরিদ্র রিকশাচালকরা শিকার হয়েছে নানাবিধ আর্থিক হয়রানি ও নির্যাতনের।
তারা জানান, এ বিষয়ে সমাধান চেয়ে বার বার প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সুরাহা করা যায়নি। তাই বাধ্য হয়েই তারা আমরণ অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন।
ব্যাটারিচালিক রিকশা শ্রমিক সংগঠনের উপদেষ্টা ও জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন, এটা কোনো প্রতীকী অনশন নয়। শ্রমিকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন কর্মসূচি চলবে। তাদের সঙ্গে অনেকেই সংহতি প্রকাশ করেছেন, অনেকেই আমরণ অনশনে অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এমএস/এসএ