জানা গেছে, পদ্মা নদীতে গত এক সপ্তাহ ধরে দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। দ্বিতীয় দফার ভাঙনে চরাঞ্চলের তিন ইউনিয়নে তিন শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, সড়ক, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, বাজারসহ নানা স্থাপনা ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এদিকে ভাঙনের মুখে রয়েছে বন্দোরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, তিনতলা একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি বাজার, মূল ভূ-খণ্ডে যোগাযোগের একমাত্র সড়কসহ নানা স্থাপনা। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিও ব্যাগ ডাম্পিং চলছে এলাকায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর প্রথম দফার বন্যায় ভাঙনের হাত থেকে জনপদ বাঁচাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড আড়াইশ কেজি করে বালু ভর্তি বস্তা ফেলছে। এ পর্যন্ত ৮৫ হাজার বালু ভর্তি বস্তা ফেলা হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে বাল্কহেড ও ট্রলার মিলিয়ে মোট ৭টি নৌযান জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে। এতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ হাজার বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, এ বছর প্রথম দফা বন্যায় ভাঙনের হাত থেকে এই এলাকা রক্ষায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। প্রথম দফা বন্যায় আমরা ভাঙন ঠেকাতে সক্ষম হয়েছি। তবে দ্বিতীয় দফা বন্যায় এই এলাকায় ভাঙনে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারটি বাল্কহেড ও একটি ট্রলারের সঙ্গে আজ আরও দু’টি ট্রলার যোগ হয়েছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ হাজার বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলতে আমরা সক্ষম হবো।
তিনি আরো বলেন, অধিক পরিমাণ জিও ব্যাগ ফেলতে শ্রমিকও বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি ভাঙন রোধ করা সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
আরএ