শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার হিলালপুর গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পাপিয়া ওই গ্রামের ওমর আলীর মেয়ে ও খোকসা সরকারি ডিগ্রি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)।
তার বাবা ওমর আলী বাংলানিউজকে বলেন, কলেজে পড়া অবস্থায় একই কলেজের শিক্ষার্থী ও পাশের গ্রামের মির্জাপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ছেলে শামীম রেজার সঙ্গে পাপিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাতে আমার বাড়িতে তাদের দু’জনের বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি শামীমের পরিবার। বিয়ের তিনদিন পর বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে পাপিয়াকে রেখে চলে যায় তার স্বামী। এরপর থেকে পাপিয়ার কোনো কল ধরেনি শামীম। পরে শুক্রবার সকালে অনেক বেলা হলেও দরজা বন্ধ এবং কোনো সাড়া না পেয়ে তার ঘরে খোঁজ নিয়ে দেখি পাপিয়ার ঝুলন্ত দেহ।
এদিকে আত্মহত্যার খবর পেয়ে শামীমের পরিবারের সবাই বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে পালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
খোকসা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বুলবুল আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
এসআরএস