ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা-দিল্লি ৭ সমঝোতা স্মারক-চুক্তি সই

মহিউদ্দিন মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৯
ঢাকা-দিল্লি ৭ সমঝোতা স্মারক-চুক্তি সই ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়েছে। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং

হায়দ্রাবাদ হাউস, নয়াদিল্লি থেকে: বিভিন্ন সেক্টরে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সাতটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই করেছে ঢাকা-নয়াদিল্লি। উপকূলে সার্বক্ষণিক নজরদারি ব্যবস্থা, সমুদ্র বন্দর, ফেনী নদীর পানি, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করতে দ্বিপাক্ষিক এসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়।

শনিবার (৫ অক্টোবর) দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়।

এর আগে, হায়দ্রাবাদ হাউজে দুই প্রধানমন্ত্রী প্রথমে একান্ত ও পরে বাংলাদেশ-ভারতের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন।

এসময় দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের সই হওয়া সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মধ্যে রয়েছে-

১. ভারতে পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ক চুক্তি সম্পর্কিত একটি এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর)।

২. উপকূলে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থার (কোস্ট্যাল সারভাইল্যান্স সিস্টেম-সিএসএস) বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের মধ্যে সমঝোতা।

৩. ত্রিপুরায় সাবরুম শহরে খাবার পানি সরবরাহ প্রকল্পে ফেনী নদী থেকে থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার বিষয়ে বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা।

৪. যুব উন্নয়নে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ভারতের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা।

৫. বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি বিষয়ে চুক্তি নবায়ন।

৬. হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা স্মারক সই।

৭. ভারত থেকে নেওয়া ঋণ বাস্তবায়ন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি।

এর আগে, দিনের কর্মসূচির শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।

সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সইয়ের পর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউসে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। বিকেলে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

বিকেলে সফরকালীন আবাসস্থল হোটের তাজমহলে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার’ দেবে এশিয়াটিক সোসাইটি। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।

এর আগে, শুক্রবারও (৪ অক্টোবর) ভারত-বাংলাদেশ ব্যবসায়িক ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ এও বং টেক-মাহিন্দ্রা; বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোনস অথোরিটি ও আদানি পোর্টস ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে দু’টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সফরের শেষ দিনে রোববার (৬ অক্টোবর) বেশ কিছু কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৪০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯ (আপডেট: ১৪৫৫)
এমইউএম/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।