ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘তামাক নীতি বানচালে কোম্পানির ষড়যন্ত্র’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৯
‘তামাক নীতি বানচালে কোম্পানির ষড়যন্ত্র’

ঢাকা: ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি’ প্রণয়নের উদ্যোগ ব্যাহত করতে বরাবরের মতো মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও খণ্ডিত তথ্য উপস্থাপন করে এই নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়া বানচাল করতে অপতৎপরতা শুরু করেছে তামাক কোম্পানিগুলো। তামাক কোম্পানিদের একটি সংগঠন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো চিঠিতে তামাক খাত থেকে বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের কথা বার বার তুলে ধরেছে। এখানে রাজস্ব আয়ের বিষয়ে তারা মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে তামাক ব্যবহারজনিত অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।’

শনিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারকে দেওয়া চিঠিতে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের প্রভাব হিসেবে কোম্পানিগুলো বারবার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তামাক পণ্যের রাজস্ব ফাঁকি এবং অবৈধ সিগারেট বিক্রি বাড়ার প্রসঙ্গ টেনেছে।

কিন্ত বর্তমান বাজারের সঙ্গে তামাক কোম্পানি প্রদত্ত তথ্যের সামঞ্জস্য নেই।  

বরং তামাক কোম্পানিগুলোই নানা কৌশলে রাজম্ব ফাঁকি দিয়ে চলেছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে বিতর্কিত করতে তারা নিজেরাই এমন অবৈধ সিগারেট বাজারে ছড়ানোর অপ-কৌশল করছে কিনা, তা এখন আমাদের সন্দেহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চিঠিতে তারা আইন মেনে চলার কথা বললেও সব তামাক কোম্পানি প্রতিনিয়ত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পরিপন্থি কাজ করেই চলেছে। তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন, প্রচারণা, পৃষ্ঠপোষকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানান কৌশলে তারা আইন অমান্য করে চলেছে।  

এছাড়াও তারা তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ওপর করারোপ, এই খাতে বিনিয়োগ, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্ক বানীসহ নানা বিষয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের শুভ উদ্যোগগুলোকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে চাইছে। তাদের এই অপচেষ্টাগুলোকে এখনই প্রতিরোধ করতে না পারলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপগুলো এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন মারাত্বকভাবে ব্যাহত হবে।

জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সরকারের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে তামাক কোম্পানিগুলো সবসময় নানা কুট-কৌশলের আশ্রয় নিয়ে থাকে। তারা নানা মিথ্যাচার ও খণ্ডিত তথ্য দিয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাদের কৌশলী ও অযাচিত হস্তক্ষেপ দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে ব্যাহত করেছে বারবার।

তামাক কোম্পানির কাছে জনস্বার্থ ও নীতি-নৈতিকতার চেয়ে মুনাফা অগ্রগণ্য। কিন্তু সরকারের কাছে অগ্রগণ্য ‘জনস্বার্থ’। তাই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে মুনাফালোভী তামাক কোম্পানির অপচেষ্টা প্রতিহত করে তামাক নিয়ন্ত্রণে ধারাবাহিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯
টিআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।