শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায়ও শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে টহল দিতে দেখা যায় ওই দফতর কর্মীদের।
পূজা শুরুর প্রথমদিন থেকে তিনটি ওয়াটার মিক্সড টুহুইলার ও একটি পানিবাহী গাড়ি নিয়ে মোবাইল টিম হয়ে তারা এই তৎপরতা চালাচ্ছেন।
তবে জেলা সদরসহ ১০ উপজেলার মধ্যে সাতটি এ সেবা চলছে। বাকি তিনটিতে স্টেশন ও লোকবল না থাকায় উল্লিখিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে যেকোনো দুর্ঘটনায় পার্শ্ববর্তী ফায়ার স্টেশনের সাহায্য নেওয়া হয়।
নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মো. সাইদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ফায়ার সার্ভিস অতীতে যেকোনো দুর্যোগ-প্লাবনে জনতার পাশে ছিল, এখনও আছে এবং থাকবে।
দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। সেই উৎসব পালন এবং এর নিরবিচ্ছিন্ন আনন্দে ভূমিকা নিতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মাঠে কাজ করছেন প্রতি দিন-রাত।
খালিয়াজুরী, বারহাট্টা ও পূর্বধলা উপজেলা ছাড়া বাকি সাত উপজেলায় প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মোবাইল টিম কাজ করছে। একটি মোবাইল টিমে রয়েছেন ১০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী। তারা একটি পানিবাহী গাড়ি ও তিনটি ওয়াটার মিক্সড টুহুইলার নিয়ে বের হন প্রতিদিন।
সদা প্রস্তুত থাকেন ফায়ার কর্মীরা, যেকোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলায়। এতে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছ থেকেও বেশ সাড়া মিলেছে বলে দাবি করেন ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
প্রতিমা দর্শনে আসেন দম্পতি মাধবী রাণী দাস ও ভূট্টো চন্দ্র দাস। বাংলানিউজকে তারা বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মোবাইল ডিউটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তাদের এই টহল যেকোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
টিএ