রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ না করা ও পুনর্বাসনের জন্য ৫ বছরের মহাপরিকল্পনা নেওয়াসহ নানাদাবি সম্বলিত প্লেকার্ড ও মাথায় কাফনের কাপড় পরে সহস্রাধিক হকার বিক্ষোভ-মিছিলে অংশ নেন।
সমাবেশে মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা মুন্নী বলেন, হকাররাও মানুষ। তারা দু'বেলা খেয়ে বাঁচতে চায়। হকাররা ব্যবসা করতে চায়। কেউ খাবে কেউ খাবে না, এটা হতে পারে না। দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা কামাচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষ, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ যারা শ্রম দিয়ে দু'টাকা উপার্জন করতে চায়, তাদের উচ্ছেদ করা হয়। দুর্নীতিবাজদের টাকা শ্রমিক মেহনতী মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের নেতা ফিরোজ আলী বলেন, লালবাগ জোনের পুলিশের উপ-কমিশনারের (ডিসি) আমরা কোনো ক্ষতি করিনি। কিন্তু কেন তিনি আমাদের উচ্ছেদ করে পেটে লাতি মারলেন। আমরা শান্তি চাই, কিন্তু এভাবেই যদি না খেয়ে থাকতে হয়, তাহলে সেই শান্তি থাকবে না। পেটে ভাত না থাকলে হকাররা যেকোনো কিছু করবে।
তিনি বলেন, কাফনের কাপড় যেহেতু মাথায় নিয়েছি, তাই প্রয়োজনে আত্মাহুতি দেবো। যদি লালবাগ জোনের ডিসি আমাদের গ্রেফতার করে, বাকি একহাজার লোক স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবে। আমরা কোনো কথা শুনবো না। আমরা হকার, ব্যবসা করতে চাই। আমাদের দাবি মানতে হবে।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হকার নেতা আনিসুর রহমান ও শাহীনা আকতার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
টিএম/ওএইচ/