ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

তৃষা হত্যায় সাজা ভোগ করা আসামি ধর্ষণের দায়ে রিমান্ডে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৯
তৃষা হত্যায় সাজা ভোগ করা আসামি ধর্ষণের দায়ে রিমান্ডে আসামি মেহেদী হাসান মর্ডান। ছবি: বাংলানিউজ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় আলোচিত তৃষা হত্যা মামলায় ১৪ বছর সাজা ভোগা করা আসামি মেহেদী হাসান মর্ডানকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

কোর্ট ইন্সপেক্টর জামাল উদ্দিন মণ্ডল বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত মর্ডানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিচারক শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মর্ডান গাইবান্ধা শহরের খাঁপাড়া মাতৃসদন এলাকার আজাদ আলীর ছেলে।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) নওশাদ আলী বাংলানিউজকে জানান, মেহেদী হাসান মর্ডান গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্কুলে যাওয়ার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী অপহরণ করে বাদিয়াখালীর একটি কম্পিউটারের দোকানের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করলেও মর্ডানসহ তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে সদর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ চেষ্টার পর শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে
মর্ডানকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন শনিবার তাকে গাইবান্ধায় আনা হয়।

জানা যায়, ২০০২ সালের ১৭ই জুলাই গাইবান্ধা শহরের মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা তৃষা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মডার্নসহ তিন বখাটে তাকে ধাওয়া করে। এসময় পুকুরে পড়ে মারা যায় তৃষা। এ ঘটনায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড হলেও পরে আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ তাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

কিছুদিন আগে সাজা খেটে বেরিয়ে এসে মাদক মামলায় আবারও গ্রেফতার হন মডার্ন। ওই মামলায় জামিনে বেরিয়ে ফের ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।