চারজনের এ কক্ষে ফাহাদ ছাড়াও থাকতেন তানভির আহমেদ অন্তিম, রাফি, মিজানুর রহমান। এরমধ্যে মিজানুর রহমান ১৬তম ব্যাচের হলেও বাকি তিনজনই ছিলেন ব্যাচমেট।
রাফি বাংলানিউজকে জানান, ফাহাদের বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছে ছিল উচ্চশিক্ষার জন্য। তারপর দেশে ফিরে আসার কথা বলতো।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফাহাদের পড়ার টেবিলে বইপত্র সব এলোমেলো। গণিত খাতার খোলা পৃষ্ঠা দেখে বুঝা যায় পরীক্ষার সময় নিকটবর্তী হওয়ায় প্রস্তুতি ভালোভাবে শুরু করেছিলেন তিনি।
তার পড়াশোনা সম্পর্কে সহপাঠীরা জানান, সে খুবই মেধাবী ছিল, যখন পড়তো তখন খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়তে।
উচ্চশিক্ষা নিতে এসে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে মরদেহ হয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে সবাই। প্রতিদিনের মত প্রাণচঞ্চল পরিবেশ নেই। ঘটনার পর সবকিছুই যেন নিশ্চল হয়ে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী টেবিল-খাট সবখানেই তল্লাশি করেছে কোনো আলামত পাওয়া যায় কিনা।
দুপুরে এ কক্ষে এসেছিলেন ফাহাদের খালাতো ভাই, ফুফু এবং নিকট আত্মীয় স্বজনরা। ফাহাদের বইপত্র, পোশাক দেখে তারা কান্না জুড়ে দেন। বাংলানিউজের কাছে তারা বলেছেন, কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা না থাকার পরও কেন তাকে মরতে হবে আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এসকেবি/এইচএডি