ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ফাহাদবিহীন নিস্তব্ধ ‘বুয়েটের ১০১১’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৯
ফাহাদবিহীন নিস্তব্ধ ‘বুয়েটের ১০১১’ বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশসেরা বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের ১০১১ নং কক্ষ। রোববার বিকেল পর্যন্ত ছিল সব ঠিকঠাক। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া থেকে ফিরে এসে পড়ার টেবিলে বসেছিল মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে সে কক্ষ ফাহাদবিহীন নিস্তব্ধ হয়ে আছে।

চারজনের এ কক্ষে ফাহাদ ছাড়াও থাকতেন তানভির আহমেদ অন্তিম, রাফি, মিজানুর রহমান। এরমধ্যে মিজানুর রহমান ১৬তম ব্যাচের হলেও বাকি তিনজনই ছিলেন ব্যাচমেট।

তাই নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা ছিল মজবুত। সময় পেলে ঘুরতে বের হতেন তারা। কার্ডও খেলতেন।

রাফি বাংলানিউজকে জানান, ফাহাদের বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছে ছিল উচ্চশিক্ষার জন্য। তারপর দেশে ফিরে আসার কথা বলতো।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফাহাদের পড়ার টেবিলে বইপত্র সব এলোমেলো। গণিত খাতার খোলা পৃষ্ঠা দেখে বুঝা যায় পরীক্ষার সময় নিকটবর্তী হওয়ায় প্রস্তুতি ভালোভাবে শুরু করেছিলেন তিনি।

তার পড়াশোনা সম্পর্কে সহপাঠীরা জানান, সে খুবই মেধাবী ছিল, যখন পড়তো তখন খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়তে।

রুমের ভেতরে এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে কাপড়-বই।  ছবি: বাংলানিউজ

উচ্চশিক্ষা নিতে এসে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে মরদেহ হয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে সবাই। প্রতিদিনের মত প্রাণচঞ্চল পরিবেশ নেই। ঘটনার পর সবকিছুই যেন নিশ্চল হয়ে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী টেবিল-খাট সবখানেই তল্লাশি করেছে কোনো আলামত পাওয়া যায় কিনা।

দুপুরে এ কক্ষে এসেছিলেন ফাহাদের খালাতো ভাই, ফুফু এবং নিকট আত্মীয় স্বজনরা। ফাহাদের বইপত্র, পোশাক দেখে তারা কান্না জুড়ে দেন। বাংলানিউজের কাছে তারা বলেছেন, কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা না থাকার পরও কেন তাকে মরতে হবে আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এসকেবি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।