মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলো- উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের বাসিন্দা শরিফ মাতুব্বরের ছেলে আব্দুর রশিদ মাতুব্বর ও একই এলাকার বাসিন্দা কবির সরদার।
এদিকে পুলিশি অভিযান টের পেয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন ঘটনার মূল হোতারা। তবে তাদেরও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হিজলার হরিনাথপুরে শেওড়া সৈয়দখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তারেক আহসান রাসেল।
আর অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
এদিকে হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তাছাড়া নির্যাতনের শিকার যুবককেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বিকেলের মধ্যেই মামলা হবে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে নির্যাতনের স্বীকার আজম বেপারীর বাবা মহিউদ্দিন বেপারী বলেন, নির্যাতনকারীদের মধ্যে জহির নামের ব্যক্তির সঙ্গে তার ছেলের জমিজমা বিকিকিনির ব্যবসা ছিল। জমি বিক্রির লাভের ত্রিশ হাজার টাকা চাইতে গেলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরপর তার ছেলেকে মাহাবুব সিকদার, শাহাদাত হাওলাদার ও বিল্লালসহ বেশ কয়েকজন মিলে নির্যাতন করে বদনা (টয়লেটে ব্যবহৃত পানির পাত্র) দিয়ে ময়লা পানি খাওয়াতে বাধ্য করে। পরে নিরাপত্তার জন্য তার ছেলে আজমকে ঢাকায় পাঠিয়েছেন।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এখন তাকেও জহির হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মহিউদ্দিন বেপারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এমএস/জেডএস