সার্বজনীন এ উৎসবে সামিল হয়েছেন রাজনীতি, প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্ম ও শ্রেণী-পেশার মানুষ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানাতে মণ্ডপগুলোতে ছুটে যাচ্ছেন তারা।
এবার শুধু উৎসবেই সীমাবদ্ধ থাকেনি দুর্গাপূজা। দেবী আরাধনার পাশাপাশি মণ্ডপগুলোতে চোখে পড়েছে ব্যতিক্রমী আয়োজন।
কোনো কোনো মণ্ডপে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নাটিকার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন দেয়াল চিত্রকর্মে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা। ব্যতিক্রম এ আয়োজনের উদ্যোক্তা নগরের মির্জা জাঙ্গালে সনাতনী যুব ফোরাম ও নাইওরপুল রামকৃষ্ণ মিশন।
সহিংসতা প্রতিরোধে প্রতিবাদ স্লোগানও ছিল লক্ষ্যণীয়। ‘আজ মায়ের কাছে প্রার্থনা করে, আপনার পশুভাব বলি দিয়ে যান’ কিংবা ‘ভাবুন আপনি কি করতে চান, তা আপনার ও সমাজের জন্য মঙ্গল কিনা’ এমন সব স্লোগানে সজ্জিত হয়েছে বিভিন্ন দেয়াল।
আগন্তকরা মন্তব্য লিখে যাওয়ার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট বাক্স ও খাতা। এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সবাই।
যুব ফোরামের সভাপতি মিহির দেব ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা থেমে নেই। কেবল উৎসব নয়, দুর্গাপূজায় আসা লোকজনের ক্ষুদ্র একটি অংশও যদি নাটিকা ও চিত্রকর্মগুলো দেখে নিজেদের শুধরে নেন, তাতেই এ আয়োজনের সফলতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এনইউ/কেএসডি/আরবি/