মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল থেকে ফুলতলার ভৈরব নদ, জেলখানা ঘাট, চরেরহাট, দৌলতপুর ও রেলীগেট ঘাটে বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়।
ফুলতলা, দামোদর ও জামিরা ইউনিয়নের সব মন্দিরের প্রতিমা বিকেলে ফুলতলার সিকিরহাট ঘাটে বিসর্জন করা হয়।
বিসর্জনের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি পূজা কমিটির নিজস্ব ভলান্টিয়াররাও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিসর্জনের আগে নারীরা দেবী দুর্গার সিঁথিতে সিঁদুর পরান এবং মিষ্টি মুখ করান। পরে মন্দিরে আগত নারীরা একে অপরের সিঁথিতে সিঁদুর বিনিময় করেন। এরপর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ থেকে ট্রাকযোগে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা শুরু হয়। এ শোভাযাত্রাগুলোয় যোগ দেন মন্দিরগুলোর পুণ্যার্থীরা। শোভাযাত্রাগুলো ভৈরব নদের ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয়।
এবার খুলনা মহানগরের ৮ থানায় ১২৯টি মণ্ডপ ছিল। এরমধ্য সদর থানায় ২৫টি, সোনাডাঙ্গা থানায় ১১টি, খালিশপুর থানায় ১১টি, দৌলতপুর থানায় ২২টি, খানজাহান আলী থানায় ১১টি, হরিণটানা থানায় ছয়টি, লবণচরা থানায় ১০টি এবং আড়ংঘাটা থানায় ৩৩টি।
অপরদিকে, জেলার ৯ উপজেলায় ছিল ৮৬৯টি মণ্ডপ। এর মধ্যে বটিয়াঘাটায় ১১৮টি, দাকোপ ৮৩টি, রূপসায় ৭৩টি, তেরখাদায় ১০৪টি, দিঘলিয়ায় ৬০টি, ফুতলায় ৩২টি, ডুমুরিয়ায় ১৯৬টি, পাইকগাছায় ১৪৯টি ও কয়রায় ৫৪টি মণ্ডপ রয়েছে।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার (সদর) মনিরুজ্জমান মিঠু বাংলানিউজকে জানান, এবছর খুলনার মণ্ডপগুলোতে সুষ্ঠু শৃঙ্খলভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/