ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

স্কুলমাঠে মাষকলাই চাষ, খেলাধুলা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৯
স্কুলমাঠে মাষকলাই চাষ, খেলাধুলা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা স্কুলমাঠে চাষ করা হয়েছে মাষকলাই ডাল, ছবি: বাংলানিউজ

গাইবান্ধা: মেধা বিকাশে স্কুলে শুধু লেখাপড়া নয়, খেলাধুলাও জরুরি। প্রায় সব স্কুলে এ জন্য থাকেও একটি মাঠ। কিন্তু এই মাঠ যদি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় ব্যবহার না হয়ে, চাষাবাদে হয়, তাহলে অবশ্যই বিষয়টি দৃষ্টিকটু। ‘স্কুলের নীতিমালা’ বিরোধী। যে কাজটি করেছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির খেলাধুলার মাঠে চাষ করা হয়েছে মাষকলাই ডাল। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে মাঠটিতে খেলাধুলা করতে পারছে না খুদে শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকশ করছে। এমনকি তাদের অভিভাবকরাও অসন্তুষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনায়।

বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, শিক্ষকরা আমাদের খেলার মাঠে মাষকলাই ডাল চাষ করেছেন। আমরা খেলাধুলা করতে পারছি না। চাষ করার সময় আমরা প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করেছিলাম, মাঠটা যেন বন্ধ করা না হয়। কিন্তু তিনি আমাদের কথা রাখেননি।

অভিভাবক রানু মিয়া ও নওশা মিয়া বাংলানিউজকে জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। বিদ্যালয় মাঠে মাষকলাই চাষ করায় তারা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করে শিশুদের খেলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের পরামর্শে শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলির জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রেখেই মাষকলাই চাষ করা হয়েছিল। যেহেতু শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হচ্ছে এবং অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, তাই দ্রুত বিদ্যালয় মাঠ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে মাষকলাই চাষের ব্যাপারে আমি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।