মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে নগরের ক্বীন ব্রিজ সংলগ্ন সুরমা নদী তীরে বিসর্জন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এরপর একে একে সুরমার বুকে বিদায় জানানো হয় দুর্গাদেবীকে।
বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে গেলেন দুর্গতিনাশিনী দুর্গা। পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের পাঁচদিনের আনন্দ-উল্লাস, আরাধনা এবং বিজয়াশ্রু।
শাস্ত্রমতে, এবার ঘোটকে (ঘোড়া) মর্তলোকে আসেন দেবী। স্বামীর গৃহে ফিরে যান ঘোটকে চড়েই। ঘোটকে আসা-যাওয়া শাস্ত্রমতে ছত্রভঙ্গ। মানে, মারামারি হানাহানি লেগে থাকার ইঙ্গিত বহণ করে বলে জানান পুরোহিত কাব্যতীর্থ রজত কান্তি চক্রবর্তী। এ জন্য বিজয়া দশমীতে দেশের শান্তি কামনায় মন্দিরে মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
শারদীয় দুর্গোৎসবে এবার সিলেটে পারিবারিক ও সার্বজনীন মিলিয়ে ৬০৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের তুলনায় এবার মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে ১০টি। গত বছর ৫৯৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এবার নগর এলাকায় সার্বজনীন ৫১টি, আর নগরে ১৫টিসহ পরিবারিক পূজা হয় ৫৮টিতে। বাকিগুলো সার্বজনীন।
প্রতীমা বিসর্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এনইউ/ওএইচ/