মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর দেড়টার মধ্যে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে বিদ্যালয়টি বিলীন হয়ে যায়।
নদীর এ ভাঙন দেখে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানায়, উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে গত কয়েক বছরে গুঠিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের বসতঘর, আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ বছর নদী ভাঙনে বিলীন হলো বিদ্যালয়টি।
আশোয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগদিশ চন্দ্র হালদার বাংলানিউজকে জানান, গত বছরের শুরুতে বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল। তবে ভাঙন শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থী কমে গেছে। এখন বিদ্যালয়ে মাত্র ৫৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে সিডরের পর আশোয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মিত হয়। গত বছর থেকে ভবনটি ভাঙনের মুখে পড়ে। সম্প্রতি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্তু তার অধিকাংশই নদী গর্ভে চলে গেছে।
এদিকে, গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ডা. দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগে থেকেই স্কুলটি নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে ছিল। বেশ কয়েকদিন আগে স্কুলের ভবনের কিছু জায়গায় ফাটল ধরে। সকালের দিকে ভবনটির ধসে পড়ে।
তিনি বলেন, আমি ও স্কুল কমিটির সদস্যরা মিলে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি টিনশেড ঘর ঠিক করে দিচ্ছি। যেখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হবে।