ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ইলিশ ধরা-বিক্রি বন্ধে লিফলেট বিতরণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
ইলিশ ধরা-বিক্রি বন্ধে লিফলেট বিতরণ বিতরণ করা লিফলেট

ঢাকা: বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। তাই এ সময়ে মাছটি ধরা ও বিক্রি বন্ধে লিফলেট বিতরণ করেছে লৌহজং উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সকালে মাওয়া ফেরিঘাটে অবস্থিত মাছ বাজার ও খাবার হোটেলে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়।

লিফলেটে বলা হয়েছে, মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর সংশোধিত আইন ১৯৮৫ এর রুলস ১৩ এর ১ ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত সময়ে সব প্রকার ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময়সহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ।

চলতি বছরের ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুম সংরক্ষণ অভিযান সরকার ঘোষণা করেছে। ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এই আইন বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশ নিয়োজিত। আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

অবৈধভাবে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্যাদি স্থানীয় মৎস্য বিভাগকে জানিয়ে জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় নিজেকে সামিল করুন বলেও জানানো হয় লিফলেটে।

এ ব্যাপারে মাওয়া ঘাটের কাশ্মীরি ইলিশ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক সুমন বাংলানিউজকে বলেন, মৎস্য বিভাগ থেকে আমাদের বলে গেছে এবং লিফলেট বিতরণ করেছে। আমরাও কাল থেকে আর ইলিশ বিক্রি করব না। ফ্রিজে ইলিশ যা রয়েছে, তা আজ বিক্রি করে ফেলব। আর যদি বিক্রি না করতে পারি, তাহলে বাসায় নিয়ে খাব। বুধবার থেকে অন্য মাছ বিক্রি করব। সরকারের এ আদেশ আমরা মেনে চলব।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এসএমএকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।